মুরতাদের শাস্তি কি আমাদের জানা উচিৎ, মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর যখন প্রায় সমগ্র আরব মুরতাদ হয়ে যায়, কেউ কেউ একদম ইসলাম থেকেই বিমুখ হয়ে পড়ে আবার কেউ কেউ যাকাত দিতে অস্বীকার করে বসে তখন আবু বকর (রা.) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থগুলোতে এরূপ সকল ব্যক্তির জন্যই মুরতাদ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে পরবর্তী যুগের জীবনীকারক ও আলেমরা পড়েছেন যে, ‘মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’।
হযরত আবু বকর (রা.) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন বিধায় তাঁকে খতমে নবুয়্যত সংক্রান্ত বিশ্বাসের রক্ষক ও নায়করূপে উপস্থাপন করা হয়। অথচ বাস্তবতা হল, খিলাফতে রাশেদার যুগে ‘খতমে নবুয়্যতের আক্বিদা বা বিশ্বাসের সুরক্ষা’-জাতীয় কোন ধারণার অস্তিত্বই ছিল না। আর এই লোকদের বিরুদ্ধে এজন্য তরবারি ধারণ করা হয় যে, খতমে নবুয়্যত সংকটের মুখে ছিল কিংবা মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কুরআন শরীফ বা মহানবী (সা.) মুরতাদদের জন্য মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন ।
ইসলামের পরিভাষায় মুরতাদ হল সেই ব্যক্তি যে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয় ও ইসলামগ্রহণের পর একে অস্বীকার করে। কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা একাধিকবার মুরতাদদের শাস্তি র কথা বলেছেন, যেমন সূরা বাকারার ২১৮নং আয়াতে রয়েছে: ‘তোমাদের মধ্য থেকে যে-ই নিজ ধর্ম থেকে ফিরে যায় ও কাফির অবস্থায় মারা যায়, সেক্ষেত্রে এরাই এমন লোক যাদের কর্ম ইহকাল ও পরকালে ব্যর্থ হয়েছে এবং এরাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা দীর্ঘকাল বসবাস করবে।’ এই আয়াত নির্দেশ করছে, মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে কেননা সেক্ষেত্রে ‘এমন মুরতাদ কাফির অবস্থায়ই মারা যায়’- এটি বলা হতো ।
সূরা মায়েদার ৫৫নং আয়াতেও আল্লাহ্ তা’লা মুরতাদদের শাস্তির কথা বলেছেন,এ কথা বলেন যে; মুরতাদদের হত্যা কর বা এই এই শাস্তি দাও। আর সূরা নিসার ১৩৮ আয়াত তো এ সংক্রান্ত সকল সন্দেহ দূর করে দেয়, যাতে আল্লাহ্ বলেছেন, إ ‘নিশ্চয় যারা ঈমান আনে, অতঃপর অস্বীকার করে, পুনরায় ঈমান আনে, অতঃপর অস্বীকার করে এবং অস্বীকারে বেড়ে যায়, আল্লাহ্ কখনও তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন না।’ সূরা কাহফের ৩০ ও সূরা বাকারার ২৫৭নং আয়াতও উদ্ধৃত করেন যেখানে ধর্মবিশ্বাস গ্রহণের ক্ষেত্রে কঠোরতা, জোর-জবরদস্তি বা শাস্তি প্রদানের বিষষয়টি দৃঢ়ভাবে করা হয়েছে। উপরন্তু কুরআন শরীফে বিভিন্ন স্থানে মুনাফিক বা কপটদের উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে এত কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয়েছে যে, কাফিরদেরও এতটা সমালোচনা করা হয় নি; তাদেরকে ফাসেক বা দুষ্কৃতকারীও বলা হয়েছে, কাফিরও অভিহিত করা হয়েছে এবং ঈমান আনার পর অস্বীকার করার অপরাধও তাদের প্রতি আরোপ করা হয়েছে।
হযরত মওলানা শের আলী সাহেব তাঁর পুস্তক ‘মুরতাদের মৃত্যুদণ্ড ও ইসলাম’- উদ্ধৃত করে লিখেছেন, এই ব্যক্তির বারংবার মহানবী (সা.)-এর কাছে আসা প্রমাণ করে- মুরতাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ছিল । মক্কার কাফিরদের মধ্য হতে কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানদের কাছে মদীনায় এলে তাকে অবশ্যই ফেরত দিতে হবে, কিন্তু যদি মুসলমানদের মধ্য থেকে কেউ মুরতাদ হয়,তাহলে তাকে হত্যা করতে হবে,বলেছেন হজরত জাকির নায়েক, পবিত্র কুরআনের শিক্ষা হল ইমান ও জিহাদ, প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বিস্তৃত হয়েছে তরবারির জোরে ,মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়ে থাকে ইসলামে তাই হযরত আবু বকর (রা.) তাঁর যুগে মুরতাদদের হত্যা করেন,তাই হজরত জাকির নায়েক বলেছেন ইসলামে মুরতাদ হত্যা ও কাফির হত্যা জায়েজ,একমাত্র মহান পবিত্র দেশ সৌদিআরবে এই শাস্তি বিদ্যমান আছে,একমাত্র সৌদিআরব ই ইসলামিক শরিয়া আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ করে থাকে।